কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন
কানাইঘাট থানার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে সুরমা নদি থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন করে যাচ্ছে এলাকার যুব সমাজ। সুরমা ঘেষা ঘর বাড়ি স্কুল মসজিদ বাঁচাতে এরকম এভাবে আন্দোলন অব্যহত থাকবে। সুরমার পারে দাড়িয়ে, সুরমা নদিতে ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের যুবক এবং স্কুল কলেজের ছাত্ররা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের সুরমা নদির পারে রাজাগঞ্জ বাজার থেকে রামধা বাজার প্রায় ৫/৬কিলোমিটারের বিভিন্ন বাজারে ও এলাকায় ইঞ্জিন নৌকা দিয়ে শোডাউন করেন যুবকরা।
বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ থানার কিছু আওয়ামিলীগ ও যুবলীগ নেতাদের নেতৃত্বে সুরমা নদি থেকে কোন সরকারি অনুমতি ছাড়া গত কয়েক দিন থেকে বালু তুলা হলে, এলাকার মানুষ পড়ে যায় দুশ্চিন্তায়। কেমনে বাঁচাবে সুরমা নদি ঘেষা ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ, স্কুল এবং অসহায় মানুষের ঘর বাড়ি।এদিকে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ কিছু নেতারা বালু তুলে আসছে। ঘর বাড়ি বাঁচাতে হন্য হয়ে ঘুরছেন প্রশাষনের দ্বারে দ্বারে। জেলা প্রশাষক সহ নির্বাহী কর্মকর্তা ও কানাইঘাট থানার ওসি মহাদেয়ের কাছে মুখিক ও লিখিত অভিযোগ করলে ও তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এক দুদিন পুলিশ সেখানে আসলে তাদের ভুমিকা ছিল নিরব। তাদের উপস্থিততি টের পেয়ে বালু তুলা বন্ধ হলে ও পুলিশ যাওয়ার পর থেকে আবার শুরু হয়ে যায় বালু তুলা।এটা দিয়ে বুজতে পারছেন পুলিশ শক্ত হাতে প্রদেক্ষেপ নিলে হয়তো স্থায়ী ভাবে সমাধান পেত এই এলাকার সাধারণ মানুষরা।
এলাকার মানুষের ঘর বাড়ি যে সুরমার নদির ভাঙ্গনে চলে যাচ্ছে বা অবৈধ ভাবে বালু তুলা হচ্ছে তাদের কোন কঠোরতা ছিল না।
এদিকে গতদিন বালু তুলা হলে রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের কোনাগ্রামে ও দাওয়াদারী, তালবাড়ি এলাকার মানুষ বাদা দিলে বালু বাহিনীর পক্ষ থেকে ফাকা গুলির শব্দ পাওয়া যায় বলে উপস্থিত জনতা বলেন।
তবে বালু তুলা বর্তমানে বন্ধ থাকলে ও এলাকার যুবকদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে।আবার বালু তুলা হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে করছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ।
Leave a Reply