
মাহফুজ হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় শুরু হয়েছে আগাম বোরো ধান কাটা।ব্যস্ততায় সময় পার করছেন বাড়ির কৃষাণি-গৃহবধূ এমনকি শিশুরাও। নানা প্রতিকূলতার পরও ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানকাটা, মাড়াই আর পরিবহনে ব্যস্ত সবাই। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার শ্রমিক হাওড়ে এসেছেন ধান কাটতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দ্রুত কাটা হচ্ছে আগাম জাতের ধান। নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে ব্রি-২৮ ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও ভালো ফলনের আশা রয়েছে তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের সমারোহ। পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিক। কাস্তের পাশাপাশি ধান কাটায় ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার।
এদিকে পাকার আগমূহুর্তে ব্রি-২৮ জাতের ধানে চিটা হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতাশ কৃষক। তার ওপর এবার জ্বালানিসহ কৃষি উপকরণের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই বাজারে ধানের ভালো দাম না পেলে ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা তাদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, ব্রি-২৮ ছাড়া এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ব্রি-২৮ জাতের প্রায় ৭৫ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অন্য জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।জেলায় এবার ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ১১ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন।
Leave a Reply