কুয়েত আমিরের তত্ত্বাবধানে ১১তম বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আবু রাহাত। তিন ক্যাটাগরিতে ১১৭টি দেশকে পেছনে ফেলে এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তিনি।
ঢাকাস্থ জামিয়া কাসেমিয়া শামসুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মুহাঃ আবু সাঈদ এর বরাত দিয়ে জানতে পারি। পরে আবু রাহাতের সঙ্গে থাকা তার ওস্তাদ শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরীর সাথে ওয়াটসএপে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম আয়োজিত কুয়েতে আন্তর্জাতিক এই কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতার জন্য মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার দুজন শিক্ষার্থী দুটি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।
তারা দুজনেই একাধিকবার বিশ্বসেরা পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র।
প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার সম্মানকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান তাদের সঙ্গে থাকা শিক্ষক শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী।
জানা যায়,গত বুধবার (১২ অক্টোবর) কুয়েতের ধর্মমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশিকুজ্জামানসহ ১১৭ দেশের রাষ্ট্রদূত সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আর মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে কুয়েতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন হাফেজ তাওহিদুল ইসলাম ও হাফেজ আবু রাহাত। তাদের সঙ্গে ছিলেন মাদ্রাসার পরিচালক শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী।
এদিকে আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দিয়েছে ইসলামি আন্দোলন কুয়েত শাখা। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে সংগঠনের সভাপতি শায়খ আবদুল মমিনের সভাপতিত্বে এবং মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার সিরাজী ও আবদুল আজীজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শায়খ আবদুল্লাহ আল হারুন।