1. admin@dainikbanglasangbad.com : admin : admin com
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
কমলগঞ্জ থানার দারোগা জিয়াউলের ক্ষমতা বলে কথা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গোয়াইনঘাট জুড়ে রাম-রাজত্ব কাশেম-বাবলা চক্রের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের ইউকে প্রবাসীদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত ক্ষমতাধর দারোগা উবাদুল্লাহ এখনো এসএমপিতে বহাল আত্রাই বান্দাইখাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অভিযোগটি সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি গোয়াইনঘাটে সাংবাদিকদের উপর হামলার মামলায়;জামিনে থাকা আসামী’কর্তৃক বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি নওগাঁর মান্দায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা ভাংচুর- লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ আটক ৯,, হ্যালো সিলেট এসএমপি কমিশনার ফাঁড়ির পুলিশ ও ছিনতাইকারী সামলাও পিরোজপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সাংবাদিক সাঈদ খানের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

জাফলংয়ে শ্রমিকলীগ নেতা সবেদ’র কাছে বিএনপিসহ প্রশাসন অসহায়

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৯৭ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: সরকারি নির্দেশনা কিংবা আদালতের আদেশ, স্থানীয় পুলিশের বাধা নিষেধ কোন কিছুই থামিয়ে রাখতে পারছেনা জাফলংয়ের ত্রাস হিসাবে পরিচিত সাবেক এমপি ইমরানের দুসর শ্রমিকলীগ নেতা ও জাফলং ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সবেদ মিয়াকে। সে নয়াবস্তির মনতাজির আলী পাখি মিয়ার ছেলে সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত আওয়ামীলীগ আমলে এই সবেদ বাহিনীর কাছে অসহায় ছিলো স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও জনসাধারণ। যখন খুশি যে কারো বাড়িঘর জবর দখল করে নিতো তারা। বিনা কারণে যে কারো উপর হামলা করে বসতো। মামলা করতে গেলে এমপির লোক হওয়ায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলাও নিতোনা। আওয়ামীলীগ সরকার বদল হলে ছাত্রজনতার উপর হামলার ঘটনায় সবেদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। এ পর্যন্ত তিনটি মামলায় এজাহারভ‚ক্ত আসামী সবেদ মিয়া। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করে তার ভয়ে ততষ্ট্য হয়ে আছে। থানার ওসি সরকার তোফায়েলতো নিজেই অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন সবেদ মিয়াকে নিয়ে। পুলিশ সুপারকেও তিনি বিষয়টি অবগত করেছেন বলেও জানান। তিনি নিজে স্বীকার করেন, এই সুবেদই জাফলং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছে। লজ্জার বিষয় এই সবেদ বিএনপির সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিমকে সভায় করতে দেয়নি জাফলং এলাকায়। ভেঙ্গে দেয় এমপি সেলিমের সভামঞ্চ আর সেই সবেদের কথায় চলতে হচ্ছে পূর্বজাফলং ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে। এখন সবেদের কথায় চলতে হচ্ছে পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দকে। সবেদের কাছে জিম্মি হয়ে আআছেন পূর্বজাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধক্ষ্য আব্দুর রাজ্জাক। সবেদের সাথে সরাসরি পাথর কোয়ারী লুটপাটে জড়িত রয়েছেন তারা। আড়াল থেকে কিছুর পিছন থেকে সবরকম শেল্টার দিচ্ছেন জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কৃতি নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ। শাহপরানের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ পাথর ও বালু অবৈধভাবে উত্তোলনের সুষ্পষ্ট অভিযোগ থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা এবং নীতি আর্দশ পরিপন্থি কর্মকান্ডের জন্য সব দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ১২০ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ লুটপাটের মামলা।
এসব বিএনপি নেতাদের শেল্টারে সবেদ মিয়ারা খাবলে খাচ্ছে জাফলং এলাকা। ক্ষমতার প্রভাবে বিভিন্ন নিরিহ মানুষের জমি জবর দখল করে ধানব
যন্ত্র দিয়ে পাথর তুলে নিচ্ছে। পুলিশ বাধা দিয়েও তাকে থামাতে পারছে না। গত বৃহস্পতিবার দিনের বেলা এই সবেদ মিয়া গংদের হামলার স্বীকার হন সিলেট নগরীর বাসিন্ধা এনামূল হক কিনু নামের ষাট বছরের একবৃদ্ধ। এ সময় হামলাকারিরা কিনুর সাথে থাকা প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দ্যেশে মারধর করে। এই হামলায়ও নেতৃত্বদেন শ্রমিকলীগ নেতা সবেদ মিয়া,
নয়াবস্তির মকবুল মিয়ার ছেলে আজগর আলী, গনি মিয়ার ছেলে সাদ্দাম মিয়া, কান্দুবস্তির আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আফসর আহমদ, ইলিয়াস মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া, কান্দুবস্তির ইলিয়াস মিয়ার ছেলে তাহের মিয়া, নয়াবস্তির হাবিল মিয়াসহ কয়েকজন। এ সময় এনামুুল হক কিনুকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে আহত হন আরো কয়েকজন।
আহত কিনুর সাথে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে কথা হলে তিনি জানান, তার শশুর মৃত মন্তন মিয়ার জাফলং জুমপার এলাকায় প্রায় সাড়ে ৫ একর জমি রয়েছে। কিছুদিন থেকে একটি চক্র জালকাগজ সৃজন করে জমিগুলো জবর দখল করে নিতে চাইলে এ নিয়ে সিলেট আদালতে একাধিক মামলা মোকদ্দমা হয়। আদালতে একটি মামলা চমলান থাকাবস্থায় শ্রমিক লীগ নেতা সবেদ মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকদিন থেকে সেখান থেকে রাত-দিন এক্সেভেটর ও ফেলুডার দিয়ে পাথর উত্তোলন করে লুটপাট করা হচ্ছে। এ বিষয়টি আদালতের নজরে নিয়ে আসলে আদালত উক্ত (২৬৩ নং দাগের) জমির উপর স্থিতি অবস্থা জারি করেন গত ১৯ ফেব্রæয়ারী। তা বাস্তবায়নের জন্য গোয়াইনঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। গতকাল বুধবার এনামুল হক কিনু, মন্তন মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান মুকিত তার কয়েকজন আত্মীয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোয়াইনঘাট থানার ওসির সাথে দেখা করে আদালতের আদেশটি বাস্তবায়ন করার অনুরোধ জানান। এ সময় ওসির নির্দেশে স্থানীয় বিট পুলিশ অফিসার উবায়দুর রহমান প্রায় দুই ডজন ফোর্স নিয়ে উপস্তিত হয়ে উক্ত ভ‚মি (২৬৩ নং) দাগের লাল কাপড় টানিয়ে সকল ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর সবেদ মিয়া আদালতের আদেশ অমান্য করে পুলিশের লাগানো লাল কাপড় সরিয়ে সেখান থেকে এক্সেভেটার দিয়ে পাথর উত্তোলন করতে গেলে স্থানীয় ভিট অফিসার উবায়দুর রহমানের হস্থক্ষেপে ব্যার্থ হয়। বৃহস্পতিবার এনামুল হক কিনু জাফলং যান কিছু পাথর কিনার জন্য। সেখানে গিয়ে খবর পান শ্রমিকলীগ সবেদের নেতৃত্বে গতকালকের লাগানো লাল কাপড়ের খুটিগুলো তুলে ফেলা হচ্ছে। সে সময় তিনি দৃশ্যটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ পূর্বজাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কোষাধক্ষ্য আব্দুর রাজ্জাক ও সবেদ মিয়ার নেতৃত্বে তার উপর হামলা করে। এ সময় তার সাথে থাকা ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এভাবে জাফলং এলাকায় সবেদ বাহিনী যে কারো উপরে হামলা চালায়। আর থাকে শেল্টার দেন বিএনপির কতিপয় এসব নেতারা। গত কয়েকদিন আগে উপজেলার পিরের বাজারে শ্রমিকদলের একটি অনুষ্টানে এই সবেদের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। জাফলং বিএনপির নেতারা নাকি সবেদকে দিয়ে তাদের সকল অবৈধ কাজ হাসিল করছেন। তাই তাকে পুলিশের গ্রেফতারের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখছেন। গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন, শ্রমিকলীগ নেতা সবেদ মিয়া তিনটি মামলার এজাহারভ‚ক্ত আসামী। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ বাধা হয়ে দাড়ান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2023 dainikbanglasangbad.com
Design & Development By Hostitbd.Com