দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার কয়েকগুণ বেড়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেও প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছেন বেশি। কেউ যাচ্ছেন স্বজনদের সাথে পূজা উদযাপন করতে। কেউ বা আসছেন ভারত থেকে বাংলাদেশে। আবার অনেকে লম্বা ছুটি নিয়েও যাচ্ছেন ভ্রমণে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভ্রমণ, ব্যবসা, চিকিৎসাসহ নানা কাজে সারা বছরই দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মানুষেরা ভারতে যাতায়াতের জন্য হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে থাকেন। তেমনি ভারতের লোকজনেরাও এই চেকপোস্ট দিয়েই বাংলাদেশে আসেন। করোনার কারণে গত ২০২০ সালের ২৩ মার্চ এই পথ দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। দীর্ঘ দুই বছর পর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে আবারও এই চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার শুরু হয়। প্রথম দিকে পারাপারের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে।
সরেজমিনে হিলি চেকপোস্টে গেলে কথা হয় বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার প্রাক্কালে পাসপোর্ট যাত্রী অরুনা ঘোষের সাথে। তিনি জানালেন, দেশেই প্রতি বছর দুর্গাপূজা উদযাপন করি। আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার ভারতে দুর্গাপূজা উদযাপন করবো। তাই গতকাল সোমবার ভারতে আত্মীয়ের বাড়ীতে যাচ্ছি। সেখানে সবার সাথে আনন্দ কওে পূজা করবো।
আরেক যাত্রী বিশ^জিৎ রায় জানান, করোনার কারণে যেতে পারিনি। ভারতে আমার কাকারা থাকেন। তাদেও আমন্ত্রণে যাচ্ছি। উৎসব শেষে চলে আসব।
মহুয়া সরকার ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বললেন, পরিবারের সাথে ভারতে তো দুর্গাপূজা উদযাপন করি। কিন্তু বাংলাদেশে দুর্গাপূজার প্রতিমা দেখতে কেমন হয় সেটি দেখার জন্য এসেছি। গাইবান্ধা থেকে আত্মীয় এসেছেন আমাকে নিতে। আমি এই প্রথম পাসপোর্ট-ভিসা কওে আসলাম। খুব ভালো লাগছে।
অনিল কুমার সাগর বলেন, করোনায় লক ডাউন থাকায় পারাপার বন্ধ ছিল। ফলে দুই বছর বাংলাদেশে আসা হয়নি। পূজা উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদেও সাথে দেখা হবে। এটাই মজা। এর চেয়ে আর কি আনন্দের হতে পারে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টেও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদিউজ্জামান বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার অনেকটা বেড়ে গেছে। প্রায় সময় ভীড় হচ্ছে। শৃঙ্খলার জন্য লাইন করে দেওয়া হচ্ছে। গেল দুই সপ্তাহ আগেই মিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ যাত্রী পারাপার করলেও বর্তমানে তা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে।
Leave a Reply