দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১১ টাকা থেকে ১৩।
প্রকারভেদে ভারত থেকে আমদানিকৃত ২০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বর্তমানে পাইকারি বাজারে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে। একইভাবে ৩০ টাকা কেজির দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে।\হ
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে বলে স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়িদের দাবি। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশি পেঁয়াজেরও দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারি পেঁয়াজ বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুর্গাপূজার আগে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে প্রতিকেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় এবং ৩০ টাকা কেজির দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা সাধারণসহ বিক্রেতারাও বিপাকে পড়েছেন।
পেঁয়াজ কিনতে আসা অরম্নণ কুমার সাহা বলেন, দুর্গাপূজার মধ্যেও পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও এখন সেই পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ১১ থেকে ১৩ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এতে বাসার খরচের হিসেব গড়মিল হয়ে যাচ্ছে।
সবজি কিনতে আসা হোটেল ব্যবসায়ি উজ্জ্বল মহন্ত বলেন, ৩২ টাকা কেজিদরে ১০ কেজি ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ কিনেছেন। গত এক সপ্তাহ আগেও একই পেঁয়াজ কিনেছেন প্রতিকেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজিদরে।\হ
পৌর খুচরা সবজি ব্যবসায়ি সুব্রত সরকার ও শাহ জামাল হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় খুচরা বাজারে আমদানিকৃত ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা।
পৌর বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ি শামসুল ইসলাম ও অজয় দত্ত বলেন, দুর্গাপূজার সময় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের আমদানিও কমে গেছে। ফলে দাম বেড়েছে। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বাড়লে, দেশি পেঁয়াজেরও দাম বেড়ে যায়। তবে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেড়ে গেলে দামও কমে আসবে।
Leave a Reply