
খাদেমুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর: বারবার পিছাচ্ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ কে হত্যার চেষ্টা মামলার রায়ের দিন। রায়ের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ নভেম্বর ।বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, আদালতের বিচারক পরিবর্তন হওয়ার কারণে নতুন বিচারক যুক্তি তর্কের জন্য আবারও শুনানির কারণে রায় পেচাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,প্রথম থেকেই মামলাটি দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। মামলায় মোট ৫৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তবে পরে মামলাটির দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- ৩ আদালতে হস্তান্তর করা হয় ।সেখানে গেল ২৬ সেপ্টেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন কিন্তু সম্প্রতি আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- ২ আদালতে বদলি হয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের নতুন বিচারক হিসেবে বেগম সাদিয়া সুলতানা যোগদান করেন ।গেল ৪ অক্টোবর তিনি মামলাটির নথিপত্র দেখে এবং বিস্তারিত জানার পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর যে যুক্তি তর্ক হয়েছিল সেটির পুন পর্যালোচনা করবেন জানিয়ে ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। পরে ধার্য তারিখে বিচারক পুনঃ যুক্তি তর্ক শুনানি করেন এবং আগামী ৮ নভেম্বর মামলা রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
মামলার একমাত্র আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের বরখাস্ত হওয়া মালি রবিউল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন ।তবে তার উপস্থিতিতে আদালতে বিচারের সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গেল ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়ারঘাট উপজেলা পরিষদের মালি রবিউল ইসলাম তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজেও পরে এয়ার এম্বুলেন্স ঢাকায় নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এই ঘটনায় ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ইউনো ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘরঘাট থানা একটি মামলার রুজু করেন ।পরে মামলাটি ডিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ তদন্ত করে ১১ই সেপ্টেম্বর দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলামকে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই বছরের ২১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন তৎকালীন ডিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম জাফর।
Leave a Reply