সৈয়দ আমানত আলীঃ
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এলাকায় প্রাইম হাসপাতালের স্টাফদের উপর হামলা চালিয়েছে আশিক মাহমুদ সৌরভ(২৫) ও আবির মাহমুদ টিটো(৩৫)সহ অজ্ঞাত আর ৮-১০ জন।এ ঘটনায় প্রাইম হাসপাতালের মোঃআরমান (২৫),মো:জনি(২২) আতাউর(২৪),মোঃমিলন(২৮),গোলাম রসুল(২৮) ও মো:লিয়ন।
আহতরা জানান,সোমবার (৩১ শে আগষ্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার সময় প্রাইম হাসপাতালে আসেন মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ২য় তলার ১৪ নং দোকানের মালিক ২ ভাই আশিক মাহমুদ সৌরভ ও আবির মাহমুদ টিটো।এরপর তারা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃআব্দুর রাজ্জাকের রুমে প্রবেশ করে।সেখানে ১৪ নং দোকানের মালিক আশিক মাহমুদ সৌরভ ও আবির মাহমুদ টিটো দুই ভাই ওই দোকানের এ্যাডভান্স ও ভাড়া নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এঘটনায় প্রাইম হাসপাতালের মালিকের কাছে যায় তারা।কথা বলার এক ফাকে আশিক মাহমুদ সৌরভ ও আবির মাহমুদ টিটোর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।আশিক মাহমুদ সৌরভ বলে দোকান কালকেই ছেড়ে দিবেন না হলে খবর আছে।আর আবির মাহমুদ টিটো রাজি হলেও দুই ভাইয়ে সমঝোতা না হওয়ায় রাত দেড়টার দিকে অফিস রুম থেকে ২ ভাই বের হয়ে যায়।এরপর হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃআব্দুর রাজ্জাক রাত সোয়া দুইটার সময় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করবে এমন সময় প্রথমে আশিক মাহমুদ সৌরভ হাসপাতালের চেয়ারম্যানের গতিপথ রোধ করে আর বলে তুই আমার দোকান আগামিকাল ছেড়ে দিবি না হলে তোকে খুন করব।এরপর হাসপাতালের চেয়ারম্যান তাকে চলে যেতে বললে তার ভাই আবির মাহমুদ টিটোসহ ৮-১০ জন হাসপাতালের মালিকে ঘিরে ধরে। এরপর আশিক মাহমুদ সৌরভ তার কোমর থেকে ছুরি বের করে তার উপর হামলা চালাতে গেলে হাসপাতালের চেয়ারম্যান তাকে ধাক্কা দেয়।এসময় হাসপাতালের কয়েকজন কথাকাটাটি শুনে দৌড়ে আসলে তাদের ৬ জনকে ছোরা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং মারপিট করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।এরপর আহতদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে তাদের চিকিৎসা করা হয়।
আহত আরমান জানান,রাত তখন ২ টা বাজে আমাদের কয়েকজনকে ডাকল বাসায় যাব আর কথা আছে কথা বলতে বলতে নিচেয় নামলে হঠাৎ সৌরভ এসে গতিরোধ করে পরে ছোরা বের করে কোপ দিতে গেলে আমরা সবাই ঠেকাতে গেলে এলোপাতাড়ি কোপে আমরা ৬ জন গুরুতর আহত হই। এ সময় সৌরভের বড় ভাই টিটোসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন কিল ঘুষি মারতে থাকে। পরে চিৎকার শুনে হাসপাতাল থেকে আরও কয়েকজন আসলে তারা সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় কাছ থেকে দেখেছেন এমন একজন মোঃরাজু জানান, আমরা কয়েকজন পাশেই গল্প করছিলাম। হঠাৎ দেখি কয়েকজন হাসপাতালের মালিককে ঘিরে খুব জোরে জোরে গালাগাল করছে।পরে এগিয়ে আসার আগেই সৌরভ ও টিটোসহ ৯-১০ জন মিলে মারামারি করছে।এগিয়ে আসতেই দেখি কয়েকজন গুরুতর আহত। এরপর তারা সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃআব্দুর রাজ্জাক জানান,আমাকে দেখে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে আমি বাসায় যাওয়ার জন্য বের হলে আমার সামনে এসে বলে কালই দোকান ছেড়ে দিবি বলে গালাগালি করতে থাকে পরে আমাকে ছোরা বের করে কোপ দিবে এমন সময় আমি ধাক্কা দিলে আমার ৬ জন স্টাফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের সবাইকে আহত অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়।এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা (মামলা নং-০৭)দায়ের করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআব্দুল লতিফ জানান,এমন একটি ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি।হাসপাতালের মালিক একটি অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে(মামলা নং- ০৭)।এখন আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply