স্টাফ রির্পোটার: সিলেট শহরতলীর কুচাই সারপিং এলাকার বাসিন্ধা চার সন্তানের জনক মানিক মিয়া। মটরপার্টসের ব্যবসা করেন নগরীর চাঁদনীঘাট এলাকায়। ব্যবসার সুবাধে দীর্ঘ দিন থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন ঝালোপাড়া এলাকায়। হঠাৎ করে তিনি শুনতে পান এসএমপির মোগলাবাজার থানাধিন কুচাই এলাকার মাঝপাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগম নামের জনৈক এক মহিলা গোলাপগঞ্জ থানায় নিজের বোনকে অপহরণের একটি মামলা দায়ের করেছেন। মানিক মিয়া সেই মামলার ২নং সহযোগী আসামী। প্রথমে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে মামলার সংবাদটি পেলেও খোজ নিয়ে জানতে পারেন ফাতেমা বেগম (২৮) নামের জনৈক এই মহিলা গত ১৩/৫/২০২৪ ইং গোলাপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন কয়েক জনের নামে, মামলা নং-(০৯ তাং: ১৩/৫/২০২৪ইং)। ঐ মামলার অপর আসামীরা হলেন ফাতেমা বেগমের আপন চাচাতো ভাই অপু ও তার ভাই। ফাতেমা বেগমের পরিবার ও অপুর পরিবাওে মধ্যে জায়গা জমি সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। কিন্তু মানিক মিয়া কিভাবে, বা কি কারণে উক্ত মামলায় আসামী হলেন তা তিনি কল্পনাও করতে পারছেন না। কারণ যে ঘটনায় মামলা হয়েছে, বা দিন-সময় তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন থেকে আজবদি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্টানে তিনি নিয়মিত ব্যবসা করে যাচ্ছেন মানিক মিয়া। সম্প্রতি উক্ত মামলা থেকে মুক্তি পেতে গত ১৩/৬/২০২৪ ইং তারিখ সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ও সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে লিখিত আবেদন করেছেন মানিক মিয়ার স্ত্রী সানজিদা আক্তার জুমা (৩০)।
তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেন, তার পিতার বাড়ি সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নে। কয়েক বছর আগে মোগলাবাজার থানার কুচাই (সারপিং) গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (৪১)এর সাথে বিবাহ হয়। আমাদের চারটি সন্তান রয়েছে। স্বামী মানিক মিয়া সিলেট নগরীর চাঁদনীঘাট এলাকার একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী। জোনাকি মটরসসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্টার রয়েছে তার। স্বামীর পিতার আসল বাড়ি কুচাই সারপিং এলাকায় হলেও ব্যবসার স্বার্থে ঝালোপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন তারা। বিগত বছর খানেক পূর্বে মানিক মিয়া কুচাই এলাকায় কিছু জমি খরিদ করেন। এ সময় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী মানিক মিয়ার কাছে চাঁদা দাবী করে। তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এক বছর পর কুচাই(মাঝপাড়া) গ্রামের ইছরাব আলীর বাড়ির সীমানা নিয়ে ইছরাব আলীর পরিবারের লোকজনের সাথে তার ভাই মৃত লতিব আলীর ছেলে অপুগংদের বিরোধে মানিক মিয়াকে জড়ানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অথচ উক্ত বিষয়ে মানিক মিয়া কিছুই জানিন না।
এদিকে জমি খরিদকালীন সময়ে চাঁদা না দেওয়ায় সঙ্গবদ্ধচক্র শত্রæতা শুরু করে মৃত ইছরাব আলী মেয়ে ফাতেমা বেগম (২৮) কে ঢাল হিসাবে ব্যবহার কওে মানিক মিয়াকে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতে শুরু করে। বিনা কারণে মানিক মিয়াকে ফাতেমাগংরা মামলা মোকদ্দমায় আসামী করে আসছে। এরকম একটি একটি মিথ্যা এসএমপির মোগলাবাজার থানায় দায়ের করতে গেলে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার কোন সত্যতা না পেয়ে মামলাটি আর রেকর্ড করেনি। সেই মামলায়ও মানিক মিয়াকে বিনা কারণে আসামী করা হয়েছিলো। এতে ব্যার্থ হয়ে গত গত ২৫/৪/২০২৪ ইং ফাতেমা বেগমসহ তাদের সঙ্গবব্ধচক্র ফতেমার বোন হাওয়ারুন নেছাকে দিয়ে একটি অপরহরণ ঘটনা সৃজন করে। নাটকীয় ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফাতেমা বেগম গত ১৩/৫/২০২৪ ইং তারিখে আপনাদের গোলাপগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় ফতেমা বেগম তার আপন চাচাতো ভাই অপুর পাশাপাশি নিরোপরাধ মানিক মিয়াকে আসামী করে। মামলাটি দায়ের করার পর থেকে ফাতেমা বেগমসহ তার লোকজন আমার মানিক মিয়ার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। টাকা দিলে তারা মানিক মিয়ার উপর থেকে মামলাটি তুলে নিবে বলে জানায়। নতুবা তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে মানিক মিয়াকে হয়রানী করবে বলে আশংখ্যা করেন স্ত্রী জুমা। তিনি দাবী করেন গোলাপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলাটির সুষ্ট তদন্ত করলে তার স্বামী নিরোপরাধ প্রমানিত হয়ে যাবে। এ বিষয়ে তিনি পুলিশ সুপার ও ডিআইজির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃআব্দুল মুনিব মামুন, মোবাইল: 01715496849 অফিস: 406.Rangmohol Tower (4Floor) Bondor Bazar,Sylhet-3100। Email : banglasangbad1@gmail.com