1. admin@dainikbanglasangbad.com : admin : admin com
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
কমলগঞ্জ থানার দারোগা জিয়াউলের ক্ষমতা বলে কথা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গোয়াইনঘাট জুড়ে রাম-রাজত্ব কাশেম-বাবলা চক্রের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের ইউকে প্রবাসীদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত ক্ষমতাধর দারোগা উবাদুল্লাহ এখনো এসএমপিতে বহাল আত্রাই বান্দাইখাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অভিযোগটি সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি গোয়াইনঘাটে সাংবাদিকদের উপর হামলার মামলায়;জামিনে থাকা আসামী’কর্তৃক বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি নওগাঁর মান্দায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা ভাংচুর- লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ আটক ৯,, হ্যালো সিলেট এসএমপি কমিশনার ফাঁড়ির পুলিশ ও ছিনতাইকারী সামলাও পিরোজপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সাংবাদিক সাঈদ খানের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

আগামীকাল মঙ্গলবার চন্দ্রগ্রহণ: ধর্মমতে করণীয়

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ৫৯৯ বার পঠিত
মাহফুজ হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি:
মঙ্গলবার(৮ নভেম্বর)  পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এ দিন বিকেল ৪টা ১৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে বলে জানা গেছে।
চন্দ্রগ্রহণ কি?
 চাঁদ যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তেমন পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এইভাবে একটা সময় চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে এক সরলরেখায় আসে।
যখন এই সরলরেখায় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। তখন একে সংক্ষেপে চন্দ্রগ্রহণ বলে।
এই সময় পৃথিবী, সূর্যকে আংশিক ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে আংশিক দেখা যায় না একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে। আর পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলে। চাঁদের তুলনায় পৃথিবীর ব্যাস অনেক বেশি হওয়ায়, পৃথিবীর ঐ ব্যাসের পথ অতিক্রম করতে চাঁদের অনেকটা সময় লাগে। এই জন্য সূর্যগ্রহনের স্থায়ীত্ত্ব কয়েক মিনিট হলেও চন্দ্রগ্রহণের স্থায়ীত্ত্ব ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।
রোববার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ১৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে পূর্ণ গ্রহণ শুরু হবে। গতিপথ হবে যুক্তরাজ্যের হাওয়াই দ্বীপের ওশান ভিউ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। পূর্ণগ্রহণ থেকে চাঁদের নির্গমন হবে ৫টা ৪২ মিনিটে।
রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিট থেকে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ৮টা ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।
তিন বছরের আগে আর পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। তাই সরাসরি দেখতে না পারলেও লাইভস্ট্রিমে দেখতে পারেন এই অনন্য দৃশ্য। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ভিত্তিক গ্রিফিথ অবজারভেটরি ও ইতালি ভিত্তিক ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ প্রজেক্ট লাইভস্ট্রিম করবে এই চন্দ্রগ্রহণ।
চলতি বছর এটি দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণটি হয়েছিল মে মাসে। পরবর্তী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে ২০২৫ সালে। এর মধ্যবর্তী সময়ে বহু আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে।
হিন্দু ধর্মমতে চন্দ্রগ্রহণ:
পঞ্জিকা সূত্রে জানা যায়,সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে বহুকাল থেকেই অনেক পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে।  বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রহণ ঘিরে রয়েছে একাধিক ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত ‘বিশ্বাস’। আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বত্রই সূর্যগ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরানিক কাহিনি। দেখে নেওয়া যাক, সেই সব কাহিনিকে। কোরিয়ানরা মনে করেন যে সূর্যকে চুরি করে নিয়েছে কোনও রাক্ষুসে কুকুর। কোরিয়ান লোক সঙ্গীতে এই নিয়ে বহু সুরও বাঁধা হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার বেনিন ও টোগে উপজাতির মানুষরা বিশ্বাস করেন যে ‘গ্রহণ’ মানে সূর্য ও চন্দ্রের মধ্যে ক্রমাগত যুদ্ধ। তাঁদের আরও ধারণা যে একমাত্র পৃথিবীই এই যুদ্ধ মেটাতে সক্ষম। প্রাচীন গ্রিসের পৌরনিক কাহিনিতে মনে করা হত সূর্যগ্রহণের ঘটনা মানেই কোনও না কোনও দেবদেবী রুষ্ট হয়েছেন। যার ফলে কোনও দুর্যোগের আশঙ্কা করা হত। মূলত এই মহাজগতিক ঘটনাকে নেতিবাচক চোখে দেখা হত এখানে। অন্যদিকে,জ্যোতিষ মতে মনে করা হয় অনেকেরই কোষ্ঠীতেই গ্রহণ দোষ থাকে। কালসর্প,পিতৃদোষ, মাঙ্গলিকের মতো গ্রহণ দোষও একটি দোষ।
আদিম মানুষের কাছে চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ,
 একটি রকমের কৌতুহলের বিষয় ছিল। বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা করার আগে, এ নিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানা রকম গল্প সৃষ্টি হয়েছে। কালক্রমে তা ধর্মতত্ত্বে পৌরাণিক কাহিনি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। যেমন, হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে― সমুদ্রমন্থন শেষে উত্থিত অমৃত অসুরদের বঞ্চিত করে দেবতারা পান করেছিল। রাহু (দানব বিশেষ। দানব বিপ্রচিত্তির ঔরসে ও সিংহিকার গর্ভে এঁর জন্ম হয়) কৌশলে এবং গোপনে অমৃতপান করতে থাকলে, চন্দ্র ও সূর্য এঁকে চিনতে পেরে অন্যান্য দেবতাদের জানিয়ে দেয়। এই সময় বিষ্ণু এঁর দুই বাহু মাথা কেটে দেন। কিছুটা অমৃত পান করায় এই দানব ছিন্নমস্তক হয়ে অমরত্ব লাভ করেন। এঁর মস্তকভাগ রাহু ও দেহভাগ কেতু নামে পরিচিত। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই রাহু চন্দ্র সূর্যকে গ্রাস করার জন্য অগ্রসর হয়। কিছুটা গ্রাস করতে সক্ষম হলেও তার কর্তিত দেহ থেকে চাঁদ-সূর্য বেরিয়ে আসে। রাহুর এই গ্রাসকালীন সময়ে চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রহণ এবং গর্ভাবস্থা – এটা কি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ক্ষতিকর?
চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পরামর্শ,
বিশ্বাস করা হয় যে গর্ভবতী মহিলারা চাঁদের গ্রহনকালে সেট করা কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে তাদের এবং তাদের বাচ্চাদের ক্ষতি হয় না। চাঁদের গ্রহনকালে গর্ভবতী মহিলাদের পরামর্শ দেওয়া হয় এমন কিছু সাধারণ সতর্কতা হল:
-গ্রহণের সময় উপবাস।
– চন্দ্রগ্রহণের দিনে কিছু বুনন বা সেলাই না করা।
-আগের দিন রান্না করা হয়েছে এমন কিছু জিনিস রান্নাঘরে না রাখা।
 – এবং ছুরির মত ধারালো বস্তু ব্যবহার করবেন না।
– দিনের বেলা সূর্যের আলোর রশ্মিতে উন্মুক্ত হবেন না। সূর্যালোক এড়াতে; ভারী পর্দা টানা উচিত, এবং জানালা খবরের কাগজ দিয়ে আচ্ছাদিত করা উচিত।
-গ্রহণের সময় ঘরের বাইরে যাবেন না।
– গর্ভবতী হলে হাত-পা মুড়ে বা বেঁকে ঘুমাবেন না।
– গ্রহণের সময় শরীর সোজা রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
সতর্কতা অনুসরণ করার সময় মনে রাখার জিনিস।
এটা খুব সম্ভব যে আপনাকে গ্রহণের সময় খাওয়া বা পান করা এড়াতে বলা হবে। এটি আপনার এবং আপনার শিশুর উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে। এটা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। গ্রহণের সময় এবং আপনার প্রবীণদের বিভিন্ন বিধিগুলি মানার সময় অপ্রয়োজনীয় নিয়মগুলি আপনাকে উদ্বিগ্ন এবং ভীত করে তুলতে পারে। এতে রক্তচাপ বৃদ্ধি হতে পারে যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে।
গ্রহণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করার সময় আপনি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন:
– মাথা ঘোরা
-গুরুতর মাথাব্যাথা
– অচেতন হওয়ার মত অনুভূতি
– অম্বল বা বদহজম
আপনি যদি এই উপসর্গগুলি লক্ষ্য করেন, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। একটি চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা ঘটলে এবং আপনি সতর্কতাগুলি অনুসরণ করে থাকেন তবে অগ্রিম ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন।
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে:
জানা যায়,ইসলামি দৃষ্টিতে  সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে একটি ক্রান্তিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। ‘গ্রহণ’ সূর্য ও চন্দ্রের ওপর প্রযোজ্য আল্লাহতায়ালার কুদরতের নিদর্শন বৈ অন্য কিছু নয়।
জাহিলি যুগের মানুষ ধারণা করত, বিশ্বে কোনো মহাপুরুষের জন্ম-মৃত্যু কিংবা দুর্যোগ-দুর্ভিক্ষ প্রভৃতির বার্তা দিতে গ্রহণ হয়। ইসলাম এ বিশ্বাসকে ভ্রান্ত ধারণা বলে আখ্যায়িত করেছে এবং ‘গ্রহণ’কে সূর্য ও চন্দ্রের ওপর একটি বিশেষ ক্রান্তিকাল বা বিপদের সময় বলে গণ্য করেছে। এ জন্য গ্রহণের সময় মুমিনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এ সময়ে অন্যান্য কাজকর্ম বন্ধ রেখে আল্লাহতায়ালার তাসবিহ পাঠ, দোয়া-দরুদ ও নামাজ আদায়সহ প্রভৃতি আমলে মশগুল থাকে।
আমাদের সমাজে এ কথা চালু আছে যে, চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারী কোনো কিছু কাটলে, ছিঁড়লে বাচ্চা ঠোঁটকাটা জন্মায়, কোনো কিছু ভাঙলে অথবা বাঁকা করলে সন্তান বিকলাঙ্গ হয়। আকাশের দিকে তাকালে চোখের আলো কমে যায়। গ্রহণের সময় কিছু খেতে হয় না। এ ধরনের যত কথা প্রচলিত আছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এসবের সঙ্গে কোরআন-হাদিসের কোনো সম্পর্ক নেই।
চন্দ্র, সূর্য বা অন্যকোনো সৃষ্ট বস্তু অদৃশ্যভাবে কারও উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে- এ ধরনের বিশ্বাস রাখা যাবে না। এটা তাওহিদ পরিপন্থী বিশ্বাস। যে আল্লাহতায়ালা ও শেষ দিবসে বিশ্বাস রাখে, তার মনে রাখা উচিত, আল্লাহতায়ালার অসংখ্য নিদর্শনের মধ্যে চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণও একেকটি নিদর্শন।
কেউ যদি চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণ দেখে, তবে তার উচিত হলো হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী কাজ করা ও বেশি বেশি করে ওই সময় আল্লাহকে স্মরণ করা।
সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারী বা কারও জন্য জাগতিক কোনো কাজ করা বা না করা নিয়ে কোনোরকম বিধি-নিষেধ নেই। এ ব্যাপারে যা প্রচলিত আছে, তা কেবলই কুসংস্কার ও ভ্রান্ত বিশ্বাস। এসব মানলে কিংবা বিশ্বাস করলে মারাত্মক গোনাহ হবে।
বরং সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে আল্লাহতায়ালার কুদরতি নিদর্শন বলে বিশ্বাস করতে হাদিসে বলা হয়েছে। পুরুষদের মসজিদে জামাতের সঙ্গে সালাতুল কুসুফ (সূর্যগ্রহণের সময়) ও সালাতুল খুসুফ (চন্দ্রগ্রহণের সময়) আদায়ের জন্য বলা হয়েছে। এর বাইরে এতে কোনোরূপ বিধি-নিষেধ নেই।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছেলে ইবরাহিমের মৃত্যুর দিনটিতেই সূর্যগ্রহণ হরো। তখন আমরা সকলে বলাবলি করছিলাম যে, নবীপুত্রের মৃত্যুর কারণেই এমনটা ঘটেছে। আমাদের কথাবার্তা শুনে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর অগণিত নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারও মৃত্যু কিংবা জন্মগ্রহণের ফলে চন্দ্রগ্রহণ বা সুর্যগ্রহণ হয় না।’ –সহিহ বোখারি: ১০৪৩
সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ দ্বারা আল্লাহ তার বান্দাদের ভীতি প্রদর্শন করেন বলেও হাদিসে উল্লেখ আছে। যাতে মানুষ ঈমান ও আমলমুখি হয় এবং পাপাচার বন্ধ করে।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, একদা সূর্যগ্রহণ হলে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ভীত হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে দীর্ঘ নামাজ আদায় করে বললেন, ‘এ হচ্ছে একটি নিদর্শন, যা আল্লাহ প্রেরণ করেন। এটা কারও মৃত্যু কিংবা জন্মের জন্য সংঘটিত হয় না; বরং এর দ্বারা আল্লাহ তার বান্দাদের ভীতি প্রদর্শন করেন। তোমরা যখন এর কোনো কিছু দেখবে তখন ভীত মনে তার (আল্লাহর) জিকির, দোয়া ও তার ক্ষমা প্রার্থনার দিকে দ্রুত গমন করবে।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম
সুতরাং আমাদের উচিত, চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের সময় কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা এবং হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসের আলোকে আমল করা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2023 dainikbanglasangbad.com
Design & Development By Hostitbd.Com