
দৈনিক বাংলা সংবাদ ডেস্ক :
বরিশালে একটি মসজিদে মোবাইল ফোন দেখে দেখে তারাবি নামাজ পড়ানোর ঘটনায় সেখানে মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোড বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদে। এ ঘটনার পর মসজিদ কর্তৃপক্ষ ওই ইমামকে বাদ দিয়েছেন। পরে নতুন একজন ইমাম দিয়ে নামাজ পড়ানো শুরু করেছেন।
জানা যায়, ওই মসজিদের হাফেজ জাকির হোসেন মোবাইল ফোন দেখে দেখে তারাবি নামাজ পড়ান। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে মসজিদ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়।
বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের এক মুসল্লি হাফিজ বলেন, বিষয়টি দ্বিতীয় রমজানের রাতে তারাবি নামাজের সময় অনেকেরই চোখে পড়ে। পরে তৃতীয় রমজানের রাতে হাফেজ জাকির হোসেনের মোবাইল ফোনে দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর দৃশ্য মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ভিডিও করা হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে মসজিদের ইমাম ফারুক বলেন, হাফেজের মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর বিষয়টি সত্যি। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে ৮/১০ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে মেধার মূল্যায়নে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
তবে এ ব্যাপারে বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার মিল্টন চৌধুরী বলেন, তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে মসজিদ কমিটির কেউ ছিলেন না। মসজিদের ইমাম ও এলাকার বড় একটি মসজিদের ইমাম মিলে ইন্টারভিউ নিয়ে হাফেজ ঠিক করা হয়েছিল। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জেনে ওই হাফেজকে সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিয়ে অন্য একজন হাফেজ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষের মনে এখন সন্দেহ বিরাজ করছে, ইন্টারভিউ দিয়ে হাফিজ সাহেব নিয়োগ দিলে এমন হওয়ার কথা না, হয় হুজুর কোন মানুষ কে দিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছেন না হয় ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় যারা ছিলেন ওরা কোন কিছুর বিনিময়ে হাফিজ সাহেবকে নিয়োগ দিয়েছেন।
Leave a Reply