ডেস্ক রিপোর্টঃ
কেউ মধ্যবিত্ত কেউবা নিম্ন মধ্যবিত্ত। সামর্থ্য নেই কোরবানি দেয়ার, তবে বরকতের এই মাংস খাওয়ার ইচ্ছা সবারই আছে। তাই প্রতিবছরের মতো এবারও কোরবানির গরুর মাংস কেনার জন্য ভিড় করছেন অনেকে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অধিকাংশ ক্রেতাই মধ্যবিত্ত ও হোটেল মালিক।
রাজধানীর গুলশানের গুদারাঘাটে হাতিরঝিল সংলগ্ন সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে। তবে ঈদের দিনের তুলনায় মাংস কেনাবেচার পরিমাণ ছিল কম।
বিজ্ঞাপনসরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের পরদিন সকালে বিভিন্ন বাসা থেকে মাংস সংগ্রহ করে এখানে বিক্রি করতে আসেন নিম্নবিত্ত দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় অস্থায়ী মাংস দোকানীদের কাছে মাংস বিক্রি করছেন। আর অস্থায়ী দোকানিরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় সেগুলো বিক্রি করছেন।
সরজমিনে , কিনতে আসা রামপুরার একটি ভাতের হোটেলের মালিক জুলহাস উদ্দিন বলেন, বাজার থেকে ৫০০ থেকে ৫২৫ টাকায় মাংস কিনতে হয়। হোটেলে প্রতিদিনই মাংসের চাহিদা থাকে। এছাড়াও ঈদের পর কয়েকদিন মাংসের দোকানও বন্ধ থাকে। তাই কোরবানির মাংসের হাটে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় মাংস কিনলাম।
বেসরকারি একটি এনজিওতে কাজ করা আফজাল জাগো নিউজকে বলেন, বেতন ১৪ হাজার টাকা। এই টাকায় ভাড়া দিয়ে ঠিকমতো সংসার চলে না আবার কোরবানি। তাছাড়া আমরা কারও বাসায় মাংস চাইতেও পারি না। তবে কোরবানির মাংস খেতে কার না ইচ্ছা করে, তাই প্রতিবছরই ঈদের পরদিন মাংস কিনতে আসি। আর ঈদের দিনটা সন্তানদের নিয়ে ঘোরাফেরা করি। প্রতিবার ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনলেও এবার দাম কিছুটা বেশি।
সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪
Leave a Reply