
মাহফুজ হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে দীর্ঘ দিন ধরে একটি ভাঙ্গা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন চরাঞ্চলের তিন গ্রামের প্রায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।তাই ভুক্তভোগীরা রাস্তাসহ সেতুটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জিনারি ইউনিয়নের চর হটরআলগী (বগামারা) গ্রামের ভিতর দিয়ে জেলা ও উপজেলা সদরের মধ্যে চলাচলকারী গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীন রাস্তার ওপর নির্মিত ওই সেতুর রেলিং এবং মাঝের স্লাব ভেঙে গিয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ওই রাস্তাটির বিকল্প কোনো সড়ক কিংবা পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে যানবাহনসহ পথচারীরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন ।
সুত্রমতে,গত ১৯৯৭ সালে উপজেলার জিনারি ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. শাজাহান সরকারের উদ্যোগে চর হটরআলগী (বগামারা) চরাঞ্চলের গ্রামীন রাস্তার ওপর সেতুটি নির্মিত হয়েছিল । কিন্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেতুটির এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুল জলিল, মো.শামসুল আলমসহ অনেকেই জানান, জরাজীর্ণ ওই সেতুটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না করলে যে কোন সময় এটি ধসে গিয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।এ সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সরকার জানান, ভাঙ্গা সেতু দুটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক সাইকেল ,মটর সাইকেল,অটোরিকশা, নসিমনসহ অন্যান্য যানবাহন ও পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হলেও এ যেন দেখার কেউ নেই। বিশেষ করে বর্ষাকালে ওই সেতু দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা।
উপজেলার জিনারি ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলাম রুহিত জানান, তিনি গত নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমেই চরাঞ্চলের জরাজীর্ণ সেতু ও রাস্তাঘাট সংস্কারে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করনের পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছেন।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশলী গালিব মোর্শেদ জানান, সেতুটি শীঘ্রই সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা করা হয়েছে । ভবিষ্যতে এটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মানের আশ্বাস দেন তিনি।
Leave a Reply