1. admin@dainikbanglasangbad.com : admin : admin com
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সিলেটে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় সকাল থেকে চলছে ভোট গ্রহণ সিনেমায় পুরোদমে রাজনীতি ঢুকে গেছে: ওমর সানী ভোলায় ৬৪ হাজার ২০০ কৃষক পাচ্ছেন আউশ ধানের বীজ-সার ৭৫ থেকে ২০০৬ গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের আড়াই মাস পর হাজার কোটি টাকার লেনদেন রাশিয়ায় পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন : প্রধানমন্ত্রী মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাড়াদানে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আগামীকাল বিশ্বনাথে মেয়রের বিরুদ্ধে ৭ কাউন্সিলরের অভিযোগ

দুবাইয়ে ক্রিক নদীতে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৭৭ বার পঠিত
সাগর দেব,সংযুক্ত আরব আমিরাত:
আরবদের আবহমান কালের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে দুবাইয়ের আবরা পাড়। যেখানে রয়েছে  শতাধিক কাঠের তৈরি নৌকা। এসব নৌকায় প্রতিদিন নদী পার হন হাজার হাজার যাত্রী। স্থানীয়দের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে ভিনদেশীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাঠের এই নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন বাংলাদেশিরাও।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাইয়ের প্রাণকেন্দ্র চিড়ে বয়ে চলা নদী পারাপারে আবহমানকালের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কাঠের তৈরি এসব নৌকা। স্থানীয়দের কাছে নদীটি ‘দেরা ক্রিক’ নামে পরিচিত। আর নৌকাগুলোকে আরবিতে বলা হয় ‘আবরা’। মূলত নদীর দুই পাড়ে (দেরা ও বার দুবাই হিসেবে পরিচিত) আবরা ঘাটে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা ভিন্নরূপে দুবাইকে দেখতে পান। এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা ছুটে যান সেখানে। নদী পারাপারে নৌকার ভাড়াও বেশি গুনতে হয় না যাত্রীদের। মাত্র এক দিরহাম হলেই চলে। এ কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ও যাত্রী এখানে ভিড় করেন। আর এতে করে জীবিকার মন্ত্র খুঁজে পান এ পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাজের জন্য ভিনদেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা স্থানীয়দের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এসব নৌকা চালান। এখানকার নৌকাচালকদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই বাংলাদেশি। যাত্রীদের পারাপারের জন্য ‘ওল্ড সুক দুবাই’, ‘বার দুবাই’ ও ‘আবরা সার্ভিস স্টেশন’ নামে দেরা ও বার দুবাইয়ে রয়েছে আলাদা তিনটি স্টেশন।পর্যটকদের কাছেও দুবাইয়ের আবরা ঘাট বাড়তি আকর্ষণের জায়গা। অর্থনৈতিকভাবে বিত্তশালী দেশটি যেখানে বড় বড় সেতু নির্মাণ করে রেখেছে সেখানে ছোট্ট এই নদীটির ওপর কোনো সেতু নেই। বহুকাল ধরেই এখানে চলছে নৌকায় যাত্রী পারাপার।
দেরা ও বার দুবাই স্টেশন থেকে প্রতি দুই মিনিট পরপর নৌকাগুলো ছেড়ে যায়। কোনোটি পাড়ে আসছে আবার কোনোটি যাত্রী নিয়ে ছুটছে গন্তব্যে। প্রতিবার যাতায়াতে একেকটি নৌকা ৮-১০ জন যাত্রী ধারণ করে। গত একদশকেও ভাড়া বাড়েনি, সেই এক দিরহামই রয়েছে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত যাত্রী ওঠানামা করান তারা। তাদের প্রত্যেকের রয়েছে আবরা চালক হিসেবে বৈধ ভিসা।
চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশিদের মধ্যে অধিকাংশের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। তাদের কেউ কেউ এখানেই কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের বিশ থেকে পঁচিশটি বসন্ত। কেউ কাজ করছেন স্থানীয় আরবিদের সঙ্গে, কেউবা বাঙালি মালিকানাধীন নৌকায়।
আরেকজন চালক বলেন, স্থানীয় আরবিদের নৌকাগুলোতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করতে হয়। আবার কতকগুলো আছে বাঙালি মালিকানাধীন। একেক নৌকায় কাজের ধরনও একেক রকম। কেউ মাসিক বেতন, কেউ দৈনিক, কেউবা সমান সমান লাভ বণ্টন চুক্তিতে কাজ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2023 dainikbanglasangbad.com
Design & Development By Hostitbd.Com