
মাহফুজ হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোকজনে পরিপূর্ণ থাকে চায়ের দোকানগুলো। চায়ের পেয়ালায় এক চুমুক দিয়েই এমনই গল্পে মুখর হয়ে যান যে চায়ের কথাই ভুলে যান অনেকেই। চায়ের দোকানে ব্যক্তিগত বিষয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ গঠনমূলক আলোচনার সৃষ্টি হয়।আবার অনেকে আছেন প্রতিদিন সকাল হলেই একটি চায়ের দোকানে গিয়ে বসে বসে মানুষের মুখে নানান খবর শুনে বেশ আনন্দঘন অবকাশ ঘটান।বস্তুতঃ বর্ষায় মৌসুমি বেকার মানুষজন সময় কাটান এভাবে।
হাজারো ভ্রমণ পিপাসু মানুষের আনাগোনা এখন হাওরের নির্মল পানিময় রাজ্যে।
কিশোরগঞ্জের নিকলী, মিঠামইন ও ইটনার হাওরজুড়ে এখন শুধু থৈ-থৈ জলরাশীর মেলা। পানিবেষ্টিত হাওরের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী। শুষ্ক মৌসুমে তুমুল ব্যস্ত থাকলে বর্ষায় পাঁচ মাস কাটে বেকার সময় তাদের।অবশ্য পর্যটকবাহী নৌকা চালকদের সময় বেশ ভালোই কাটে,পকেটে আসে বেশ ভালো টাকা।
জানা যায়,নিকলী উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন মিঠামইন উপজেলায় সাতটি ও ইটনা উপজেলার আটটি ইউনিয়ন নিয়ে হাওর গঠিত।হাওরবাসীরা জানায়, হাওরের মানুষের ব্যস্ত সময় কাটে (কার্তিক মাস থেকে বৈশাখ মাস)। এ সময়টাতে জমিতে ধান রোপণ, জমির পরিচর্যা ও ধান কেটে শুকিয়ে বাড়ির গোলায় তুলতে ফুসরত মেলে না। এ সাত মাস সূর্য উদয় থেক অস্ত যাওয়া পর্যন্ত পরিশ্রম আর ব্যস্ততা ঘিরে রাখে হাওরবাসীকে। কিন্তু ঘরে ধান তোলা শেষ হওয়া মাত্রই বেকার হয়ে যায় তারা। এরপর তাদের আর তেমন কোনো কাজ থাকে না। এ সময়ে মাঠে বর্ষার পানি আসতে থাকায় এ বেকারত্ব আরও বৃদ্ধি পায়।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়,
চায়ের দোকানে সিডিতে সিনেমা দেখেই সময় কাটায় পুরুষরা।বাড়ির পুরুষদের মতো পরিবারের নারী সদস্যরাও বেকার হয়ে পড়েন। তখন তারা লুডু খেলে সময় কাটান। কেউ কেউ বাড়ির পাশে হাওরের পানিতে বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরে।নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শাকিলা পারভিন বলেন, হাওরের মানুষ মূলত মৌসুমী বেকার।
Leave a Reply