1. admin@dainikbanglasangbad.com : admin : admin com
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
কমলগঞ্জ থানার দারোগা জিয়াউলের ক্ষমতা বলে কথা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গোয়াইনঘাট জুড়ে রাম-রাজত্ব কাশেম-বাবলা চক্রের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের ইউকে প্রবাসীদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত ক্ষমতাধর দারোগা উবাদুল্লাহ এখনো এসএমপিতে বহাল আত্রাই বান্দাইখাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অভিযোগটি সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি গোয়াইনঘাটে সাংবাদিকদের উপর হামলার মামলায়;জামিনে থাকা আসামী’কর্তৃক বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি নওগাঁর মান্দায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা ভাংচুর- লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ আটক ৯,, হ্যালো সিলেট এসএমপি কমিশনার ফাঁড়ির পুলিশ ও ছিনতাইকারী সামলাও পিরোজপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সাংবাদিক সাঈদ খানের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

বাজার মূল্যের চেয়ে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত কম মূল্যে ধান কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের।

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯০১ বার পঠিত

মোঃ খাদেমুল ইসলাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুর: চলতি আমন মৌসুমী দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় এরই মধ্যে অগ্রিম জাতের ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে ।কৃষি বিভাগ বলছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে এই মৌসুমে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা দরে কেনা হবে। সে হিসেবে ভোট প্রতিবন্ধনের বাজার মূল্য করে ১ হাজার ১২০ টাকার মতো।কিন্তু বর্তমানে বাজারে প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪ শত টাকা থেকেই ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। চিকন জাতের ধান প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকা পর্যন্ত। এমন বাস্তবতায় কি কারণে কৃষকরা সরকারের নিকট ধান বিক্রি করবে তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার তেতুলতলা এলাকার  কৃষক শফিউল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে বাজারে আগাম জাতের ধান উঠতে শুরু করেছে। প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৯০০ টাকা পর্যন্ত ।সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে সে দামে ধান বিক্রি করলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ।এমনিতেই এই মৌসুমে কৃষিজ সামগ্রীর ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে বেড়েছে ধানের উৎপাদন খরচ।

দিনাজপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক জলিল আহমেদ বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত সরকারের  ধান চাল সংগ্রহ অভিযান লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। বড় বড় মিল মালিক গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান কিনে মজুত করছে। প্রকৃতপক্ষে এরাই দেশের ধান চালের বাজারের নিয়ন্ত্রক। যে কারণে চালের বাজার সরকার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না।

“সবকিছুর দাম বাড়ে খালি বাড়ে না ধানের দাম। আর কত মারবেন হামাক!” এরকম অনেক প্রশ্ন বিরল উপজেলার মাধববাটি গ্রামের পূর্ব সাহাপাড়ার কৃষক মকসেদ আলীর।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নুরুজ্জামান বলেন, দিনাজপুর খাদ্যশস্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা। এখানে উন্নত মানের জাত সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন পরিলক্ষিত হচ্ছে পাঁচ মেট্রিক টন থেকে ছয় মেট্রিক টন পর্যন্ত। জেলায় এবার দুই লক্ষ ষাট হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।

দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন বলেন, ধান চাল ক্রয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কোন নির্দেশনা পাইনি। কি পরিমান চাল ও ধান সংগ্রহ করা হবে নির্দেশনা এলেই বিষয়টি জানা যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, আমন ও বোরো দুই মৌসুম মিলে এই জেলায় প্রায় সাড়ে ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়ে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2023 dainikbanglasangbad.com
Design & Development By Hostitbd.Com