
মাহফুজ হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। শেষ মুহূর্তে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বোরো ধান কাটার প্রধান যন্ত্র কাস্তে তৈরিতে কর্মকাররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) সরেজমিনে উপজেলার হাজীপুর, আড়াইবাড়ীয়া কামারপাড়া ও ধনকুড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কাস্তে তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রায় শতাধিক কর্মকার।
কাস্তে তৈরীর প্রধান কাচাঁমাল লোহা৷ দীর্ঘক্ষণ আগুনে লোহার পাত পুড়িয়ে সেই লোহার পাতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরী করা হয় কাস্তে। পরে এগুলোতে কাঠের হাতা লাগানো হয় ও ধারালো করে তোলা হয়।
জানা যায়, এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক কর্মকার এ শিল্পের সাথে জড়িত। কর্মকারদের নিপুঁন হাতে তৈরী কাস্তে খুবই ধারালো ও নিখুঁত। এখানকার উৎপন্ন কাস্তে কিশোরগঞ্জের হাওর,ময়মনসিংহ,গাজীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু ধান মাড়াইয়ের নানা আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বের হওয়ায় দিন দিন এ পেশা অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন। কাস্তে শিল্পে নানা সমস্যা থাকলেও এখানকার কর্মকাররা পেশাকে আঁকড়ে ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।
ধনকুড়া গ্রামের হরিপদ কর্মকার জানান,
বর্তমানে লোহার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পেশায় লাভবান হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, তাদের তৈরীকৃত ১০০টি কাস্তের মূল্য আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি করে থাকেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.এহছানুল হক জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কামার শিল্পের শ্রমিকদেরকে ওস্তাদ-সাগরেদ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply