1. admin@dainikbanglasangbad.com : admin : admin com
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
কমলগঞ্জ থানার দারোগা জিয়াউলের ক্ষমতা বলে কথা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গোয়াইনঘাট জুড়ে রাম-রাজত্ব কাশেম-বাবলা চক্রের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের ইউকে প্রবাসীদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত ক্ষমতাধর দারোগা উবাদুল্লাহ এখনো এসএমপিতে বহাল আত্রাই বান্দাইখাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অভিযোগটি সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি গোয়াইনঘাটে সাংবাদিকদের উপর হামলার মামলায়;জামিনে থাকা আসামী’কর্তৃক বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি নওগাঁর মান্দায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা ভাংচুর- লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ আটক ৯,, হ্যালো সিলেট এসএমপি কমিশনার ফাঁড়ির পুলিশ ও ছিনতাইকারী সামলাও পিরোজপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সাংবাদিক সাঈদ খানের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

আমার প্যাডেল রিকশায় কেউ উডেনা বাজান-বললেন রিকশা চালক গিয়াস উদ্দিন 

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬৭৪ বার পঠিত
মাহফুজ হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি:
 কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পূর্ব ধূলজুরী গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিন৷
প্যাডেল রিকশাচালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেণ তিনি।
 যন্ত্রচালিত রিকশা বাজারে আসার পর উপজেলায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল রিকশা। এখন হোসেনপুরের কোথাও পায়ে চালিত রিকশা নেই বললেই চলে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আসার পর থেকে প্যাডেল রিকশার জায়গা পুরোটাই দখল করে নিয়েছে।সময় বাঁচাতে সবাই ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়েই চলাচল করে।
একটা সময় দেখা যেত রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে সংসার চালাত শতশত মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে পায়ে চালিত রিকশা খুব একটা দেখা যায় না। এক সময় পায়ে চালিত রিকশা খুব জনপ্রিয় ছিল। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে এখন সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে হোসেনপুর উপজেলায়।কিন্তু গিয়াস উদ্দিনের মত অর্থহীন
হাতে গোনা কয়েকজনই রিকশার প্যাডেলের সাথে বেঁধে রেখেছেন জীবনচক্র।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে দেখা হয়,প্যাডেল রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিনের সাথে। চেহারায় স্পষ্ট রোগাক্রান্তভাব। শ্বাসকষ্ট তবুও প্যাডেল রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন জীবিকার তাগিদে। খেয়ে বেঁচে থাকতে তো হবে। সামর্থ্য নাই রিকশা কেনার তবুও কারো কাছে হাত পাততে নারাজ তিনি। ২০ বছর যাবৎ এভাবে প্যাডেল রিকশা চালিয়েই চলছে গিয়াস উদ্দিনের সংসার।
জিগ্যেস করলে রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিন প্যাডেল চালাতে চালাতে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন,
“কোনো দিন ৮০ টেহা, কোনো দিন ১০০ টেহা, কোনো দিন খালি হাতেও বাইত যাইতে হয়। আমার প্যাডেল রিকশায় কেউ উডে না গো বাজান।”
 গিয়াস উদ্দিন আরও জানান, গ্যাসের দোকান থেকে মানুষের বাসায় গ্যাসের বোতল ডেলিভারি দিয়ে সারাদিনে ৮০-১০০ টাকা আয় হয়। কোনোদিন খালি হাতেও ফিরতে হয়। অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি আর প্যাডেল মারতে পারেন না বলেও জানান তিনি।
মেসার্স সিদ্দিক এলপিজি গ্যাস স্টোরের মালিক সিদ্দিক হোসেন জানান, দুই জন রিকশা চালক বাসায় এলপিজি গ্যাস ডেলিভারি করে। কোনোদিন ১০০ টাকার মতো ভাড়া পায় তারা। এলপিজি গ্যাস বিক্রি না হলে তাদের ইনকামও বন্ধ থাকে। ব্যাটারি চালিত রিকশা হলে যাত্রীর ভাড়াও পেতেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2023 dainikbanglasangbad.com
Design & Development By Hostitbd.Com