1. admin@dainikbanglasangbad.com : admin : admin com
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সিলেটে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় সকাল থেকে চলছে ভোট গ্রহণ সিনেমায় পুরোদমে রাজনীতি ঢুকে গেছে: ওমর সানী ভোলায় ৬৪ হাজার ২০০ কৃষক পাচ্ছেন আউশ ধানের বীজ-সার ৭৫ থেকে ২০০৬ গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের আড়াই মাস পর হাজার কোটি টাকার লেনদেন রাশিয়ায় পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন : প্রধানমন্ত্রী মহামারী মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাড়াদানে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য : প্রধানমন্ত্রী প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আগামীকাল বিশ্বনাথে মেয়রের বিরুদ্ধে ৭ কাউন্সিলরের অভিযোগ

আমার প্যাডেল রিকশায় কেউ উডেনা বাজান-বললেন রিকশা চালক গিয়াস উদ্দিন 

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ৩৯২ বার পঠিত
মাহফুজ হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি:
 কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পূর্ব ধূলজুরী গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিন৷
প্যাডেল রিকশাচালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেণ তিনি।
 যন্ত্রচালিত রিকশা বাজারে আসার পর উপজেলায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল রিকশা। এখন হোসেনপুরের কোথাও পায়ে চালিত রিকশা নেই বললেই চলে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আসার পর থেকে প্যাডেল রিকশার জায়গা পুরোটাই দখল করে নিয়েছে।সময় বাঁচাতে সবাই ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়েই চলাচল করে।
একটা সময় দেখা যেত রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে সংসার চালাত শতশত মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে পায়ে চালিত রিকশা খুব একটা দেখা যায় না। এক সময় পায়ে চালিত রিকশা খুব জনপ্রিয় ছিল। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে এখন সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে হোসেনপুর উপজেলায়।কিন্তু গিয়াস উদ্দিনের মত অর্থহীন
হাতে গোনা কয়েকজনই রিকশার প্যাডেলের সাথে বেঁধে রেখেছেন জীবনচক্র।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে দেখা হয়,প্যাডেল রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিনের সাথে। চেহারায় স্পষ্ট রোগাক্রান্তভাব। শ্বাসকষ্ট তবুও প্যাডেল রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন জীবিকার তাগিদে। খেয়ে বেঁচে থাকতে তো হবে। সামর্থ্য নাই রিকশা কেনার তবুও কারো কাছে হাত পাততে নারাজ তিনি। ২০ বছর যাবৎ এভাবে প্যাডেল রিকশা চালিয়েই চলছে গিয়াস উদ্দিনের সংসার।
জিগ্যেস করলে রিকশাচালক গিয়াস উদ্দিন প্যাডেল চালাতে চালাতে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন,
“কোনো দিন ৮০ টেহা, কোনো দিন ১০০ টেহা, কোনো দিন খালি হাতেও বাইত যাইতে হয়। আমার প্যাডেল রিকশায় কেউ উডে না গো বাজান।”
 গিয়াস উদ্দিন আরও জানান, গ্যাসের দোকান থেকে মানুষের বাসায় গ্যাসের বোতল ডেলিভারি দিয়ে সারাদিনে ৮০-১০০ টাকা আয় হয়। কোনোদিন খালি হাতেও ফিরতে হয়। অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি আর প্যাডেল মারতে পারেন না বলেও জানান তিনি।
মেসার্স সিদ্দিক এলপিজি গ্যাস স্টোরের মালিক সিদ্দিক হোসেন জানান, দুই জন রিকশা চালক বাসায় এলপিজি গ্যাস ডেলিভারি করে। কোনোদিন ১০০ টাকার মতো ভাড়া পায় তারা। এলপিজি গ্যাস বিক্রি না হলে তাদের ইনকামও বন্ধ থাকে। ব্যাটারি চালিত রিকশা হলে যাত্রীর ভাড়াও পেতেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো সংবাদ

© All rights reserved © 2023 dainikbanglasangbad.com
Design & Development By Hostitbd.Com